বাস্তব আর মায়ার ক্রম-সংঘর্ষ জন্ম দেয় কবিতার। অনুক্ষণ কবি অনুভব করেন জীবনের তাপ, কিংবা সভ্যতার নগ্নতা। উপলব্ধি করেন ‘খিদে বড়ো আহাম্মক, তোমার-আমার/হাতে রক্ত লেগে আছে শিশু-বিধাতার’। কখনও সুখী মুদ্রার উলটোপিঠের মানচিত্রে দুঃখের সন্ধান নেমে আসে নির্জন ঘরের রূপ ধরে, ‘সুন্দর যেখানে ম্লান মুখ/নির্জন ঘরের মতো, জানলা খুলে রাখে শীতকালে।’ কবিতায় আসলে জিতে যায় কে? এ দ্বন্দ্বে হারজিত যে নেই, সে কথা নির্দ্বিধায় উচ্চারণ করেন কবি। ‘ব্যর্থ হলে মানে, তুমি বেঁচে আছ—’ কী ভীষণ ইতিবাচক বার্তা! তেমনই ধর্মীয় হিংসার প্রতিবাদে তিনি সোচ্চার ‘রাধা যায় অভিসারে পায়ে কাঁটা নিয়ে/ধর্মের কুঠার নিয়ে পিছু পিছু আসে পিশাচেরা/কৃষ্ণ ঠিক দূরে বসে বাঁশিটি বাজান।’ শিরোনামমুক্ত এই কবিতাদের সার্থকতা এখানেই যে, তারা ‘মৃৎফলকে লেখা’।