কবিতার বিমূর্ত শরীর কথা বলে ওঠে তাঁর লেখনীর ছোঁয়ায়। নিবিড় যাপনের আশ্লেষ চুঁইয়ে পড়ে প্রতিটি পঙ্ক্তি থেকে। কবি অকপটে স্বীকারোক্তি লেখেন, ‘যতটুকু প্রেম পেলে বন্ধু বা শত্রু হওয়া যেত/ঠিক ততটুকু পাইনি কখনও’। বাস্তবকে মায়া-মোড়কে ভরে আরও কঠিন সুতীব্র করে তোলেন। ‘ক্রমে ঘরটা গর্ভমোচনের বরফে ভরে উঠল’, পাঠকের মস্তিষ্কে তিনি প্রোথিত করেন যন্ত্রণা নামক নিষ্ঠুর পেরেক। জীবন ও যৌনতা মিলেমিশে একাকার হয় যখন ‘মেয়ের পিছনে মেয়ে দ্যাখে ব্যাসমুনি’। রুদ্রশংকরের সেইসব প্রতিষ্ঠানবিরোধী কবিতার বিশেষ চয়ন নিয়ে গড়ে উঠল ‘নির্বাচিত প্রেমের কবিতা’।