টেকচাঁদ ঠাকুর জুনিয়ার ওরফে চুনীলাল মিত্র ১৮৬৯ সালে 'কলিকাতার নুকোচুরি' প্রকাশ করলেও তা লেখা হয়েছিল ১৮৬৫-তে। ভদ্রলোক সাহিত্যসেবী ছিলেন না। হয়ত তাঁর এই বই লেখার ইচ্ছেও ছিল না, বা লিখলেও ছাপানোর আগ্রহ ছিল না। লেখা আর প্রকাশের মধ্যে চার বছরের তফাৎ দেখে সেটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আচমকা চুনীলাল খেপেই বা গেলেন কেন? উত্তর লুকানো আছে হুতোমের 'রেলওয়ে' নকশায়। এখানে একেবারে প্যারীচাঁদের ভাষা নকল করে হুতোম তাঁর বাবা ও শ্বশুর দুইজনকেই অপমান করেন। প্যারীচাঁদের নাম হয় প্রেমানন্দ ও চুনীলালের শ্বশুর কোন্নগরের বিখ্যাত ব্রাহ্ম শিবচন্দ্র দেবের নাম রাখা হয় জ্ঞানানন্দ। উল্লেখ্য শিবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজপতি হওয়ায় তাঁকে নানা জায়গায় জ্ঞান বিতরণ করতেই হত।
কিন্তু তার পরেও চুনীলাল এই বই ছাপতেন না, যদি না 'আপনার মুখ আপুনি দেখ'-র লেখক ভোলানাথ মুখোপাধ্যায়ের উসকানি থাকত। ভোলানাথ 'আপনার মুখ' লিখে কালীপ্রসন্নকে ব্ল্যাকমেল করতে গেছিলেন... বাকিটা বইতে।