নৌকা থামে ঘাটে। মাঝ-বয়সি মাঝি নামে। ডাগর যুবতী এসে দাঁড়ায়। হাতে প্রদীপ। কপালে সিঁদুরের টিপ। দূরে বাতাসের মাঠে ঝিরঝিরে শরৎকাল। জ্যোৎস্নায় অঙ্গ ধুয়ে যায়। তারা কথা কয়। এক সময়ে মাঝি বলে, ‘এবার যাই—’। যুবতী বলে, ‘আমাকেও নিয়ে চলো!’ মাঝি বলে, ‘শরীরে আমার মধ্যরাত, আর তোমার এখন অপরাহ্ন—’। যুবতী বলে, ‘তাহলে আরও কিছুক্ষণ থাকো। বাঁশি বাজাও!’ পুরাতন বটগাছের নীচে যুবতীকে বাঁশি বাজিয়ে শোনায় মাঝি। চলে যেতে হবে জেনেও সে আড়বাঁশিতে যে উতল সুর তোলে, সেই সুর ছড়িয়ে রয়েছে এই সব ছায়া-ছায়া কবিতায়।