কলকাতা আমাদের প্রাণের শহর। এই শহরের পরতে-পরতে যে প্রোথিত রয়েছে এত রহস্য—তার কতটুকুই বা আমরা জানি! সেইসব অজানা অতীত-কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হরিপদ ভৌমিকের এই গ্রন্থে।... বইটি যথার্থই তিলোত্তমা। এই বইয়ে অন্তর্গত কোনো নিবন্ধই আকারে তেমন বড় নয়। বেশিরভাগই পরিসরে তিন-চার পৃষ্ঠা ছাড়ায়নি। কিন্তু তিলাকৃতি এ লেখাগুলি সম্পদে ঠাসা। এখানেই পাঠক পেয়ে যাবেন কালীপুজোয় কারণবারির মোচ্ছব হত কেমন, নিষিদ্ধ পল্লীতে সরস্বতীর আরাধনায় থাকত কোন্ ধরণের বৈশিষ্ট্য, বাসরঘরের মধ্যে দেখা যেত কীরকম জ্যান্ত নাটক প্রভৃতি। এছাড়াও এক আনার ডাকঘর, বাবুবাড়ির গাড়ি-বারান্দা, পাত্রী চাই-এর প্রথম বিজ্ঞাপনের মতো আরও অনেক অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ হরিপদ ভৌমিকের ‘কলির শহর কলকাতা’। কলকাতার ইতিহাসচর্চায় লেখকের ভূমিকা কেন অনস্বীকার্য, তা এই গ্রন্থ পড়লেই পাঠক বুঝতে পারবেন। এই বইয়ের রচনামাধুর্য ও ভাষাও সাহিত্যগুণে ভরপুর। আশা রাখি, কলকাতা-প্রেমীদের কাছে এই বই বিশেষ সমাদর পাবে।