সে এক আশ্চর্য সময়। তখন ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ছিল না। ছিল শীতের কুয়াশা চিরে দেওয়া হ্যালোজেন আর নাইট ফাংশান। ছিল লোকাল ট্রেন। বাড়িতে দিদি পালিয়ে গেছে। বাবার কারখানা বন্ধ। সিট বাজিয়ে গান— ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো’। ছিল কোচিং ক্লাসের শেষে একবুক শিরশিরানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হেমন্তদিন। আসবে কি আসবে না? দূরে জ্বলে উঠত চায়ের দোকানের কূপি। রেডিওতে বেজে উঠত কুমার শানু— ‘তু মেরি জিন্দেগী হ্যায়...’। আর ওই অদ্ভুত মায়া কাজল ভেদ করে সে যদি একবার চোখ তুলে তাকাত, মফস্বলে ফুটে উঠত হাজার জোনাকি। পলট...! সেই কিশোরী কোনদিন ফিরে তাকাত না। অনন্ত অপেক্ষা বৃষ্টিদানার মতো ছড়িয়ে আছে বন্ধ হয়ে যাওয়া গেঞ্জি কারখানার সামনে। এখনও মধ্যরাতে নাকি বাঁশির সুর ভেসে আসে, কিশোরের প্রথম ব্যর্থ প্রেমের কান্নার মতো… অলৌকিক!