কবি যখন বহুদিনের মগ্ন তাপস, তখন তাঁর কাব্য হয়ে ওঠে বহুকৌণিক প্রিজমের মতো। সেখানে জীবনবোধ প্রবেশ করে শুভ্ররেখায়, কিন্তু প্রতিফলিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানান রঙে। সে রং বহন করে ভিন্ন ভিন্ন যাপন। কবি নীলাভ অসুখে আক্রান্ত হয়ে লেখেন— ‘অনেকগুলো জন্মদিন, ঘুরে বেড়িয়েছি শ্মশানে শ্মশানে...’। জীবনের এই অন্যমাত্রিক সুর কখনও অনুরণিত হয় খাদে, কখনও উচ্চগ্রামে, কবির চোখ দ্যাখে মায়ের কপালে কখনও নেমে আসছে পূর্ণিমার চাঁদ, উঠোনে ছড়িয়ে পড়ছে লাল জ্যোৎস্না। সুর কেটে যাওয়ার উপক্রম হলে কবি আশ্রয় নেন বিগত প্রজন্মের কাছেই— ‘কোনো রুমাল নেই বলে শক্তির কবিতাগুলো জুড়ে নিজস্ব রুমাল বানিয়ে নিই...’। প্রখর অভিমানী, বেপরোয়া, স্পষ্টবক্তা সরিৎ দত্তের কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ নয়ের দশকেই। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আঠা সন্তানের আগুনলিপি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে। এই সংগ্রহে গাঁথা রইল কবির পূর্ব প্রকাশিত আটটি কাব্যগ্রন্থ।